গত ১৩ আগস্ট /২০১৫ বিকাল ৪ টায় স্থানীয় কানাইখালী মাঠে নাটোর জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে ৭ দিন ব্যাপী বৃক্ষ রোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলা/২০১৫ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয় ।
মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাটোর-২ আসনের মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শিমুল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা পরিষদের প্রশাসক এ্যাড.সাজেদুর রহমান খান, নাটোর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী শামসুদ্দীন, রাজশাহী সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অজিত কুমার রুদ্র, নাটোর জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম । এতে সভাপতিত্ব করেন নাটোর জেলা প্রশাসক মোঃ মশিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নাটোরের উপ-পরিচালক আলহাজ উদ্দিন আহম্মেদ । তিনি মেলার তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, ফলদ বৃক্ষ শুধু ফল দেয় তা নয়, ফলদ বৃক্ষ থেকে জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন ও আমরা পেয়ে থাকি। তিনি আরো বলেন ফলদ বৃক্ষ খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দূষিত কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে । তিনি উপস্থিত সকলকে কমপক্ষে ৩ টি করে ফলদ, বনজ ও ঔষুধি বৃক্ষের চারা রোপণ করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথিবৃন্দ তাঁদের নিজ নিজ বক্তব্যে বৃক্ষকে অক্সিজেন এর ভান্ডার বলে অভিহিত করেন। বক্তাগণ আরো বলেন, মানুষ পানি ছাড়া কয়েক দিন বাঁচতে পারে কিন্ত অক্সিজেন ছাড়া কয়েক মিনিট বাঁচতে পারে না। বৃক্ষ শুধু আমাদের অক্সিজেন দেয় না, বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভূমিক্ষয় রোধ, জৈব সার উৎপাদন প্রভৃতি ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে। বক্তাগণ ফলদ বৃক্ষের সাথে সাথে ফলদ, বনজ ও ঔষধি বৃক্ষের চারা রোপণ ও তার পরিচর্যারও গুরুত্বারোপ করে মেলা অঙ্গন থেকে বেশী বেশী চারা সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ জানান।
সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এক বিঘা জমিতে যে পরিমাণ ফসল পাওয়া য়ায় তার চেয়ে ফলদ, বনজ কিংবা ঔষধি বৃক্ষ রোপণ করলে ৭ গুন বেশী মুনাফা পাওয়া যায় । তাই তিনি উপস্থিত সকল স্তরের মানুষকে নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য এমনকি সারা দেশের মানুষের জন্য জীবন রক্ষাকারী বিশুদ্ধ অক্সিজেনের জন্য যে কোন জায়গায় যে কোন প্রতিষ্ঠানে নিঃস্বার্থ ভাবে বৃক্ষ রোপণ করার আহ্বান জানান। সাতদিন ব্যাপী ফলদ বৃক্ষ মেলায় ১টি গোরস্থান ও ১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ফলজ, বনজ ও ঔষুধি বৃক্ষের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। মেলায় সরকারি/বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মোট ১৮ টি ষ্টল স্থাপন করে তাদের নিজ নিজ বিভাগের কর্মকান্ড প্রদর্শন করে।
মেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকতা/ কর্মচারী, কৃষক/কৃষানী ও রাজনীতিবিদসহ প্রায় ৫০০জন উপস্থিত ছিলেন।